বিনা তপস্যায় সত্য নির্ণয় হয় না

শ্রীশ্রীঠাকুর || প্রকাশ কাল - March 6 2018

নানা শাস্ত্রের নানা মুনির ভিন্ন ভিন্ন মত দেখতে পাওয়া যায়, সত্য নির্ণয় কি করে করা যায়?

বিনা তপস্যায় সত্য নির্ণয় হয় না। যে প্রকৃত সত্য অপরোক্ষ করতে চায় তার তপস্যা করা কর্ত্তব্য। একই সত্য, একটি কথা তাও অধিকারী ভেদে স্বতন্ত্র রূপে প্রতিভাত হয়; এই সম্বন্ধে শ্রুতির একটি সুন্দর উপাখ্যান আছে। প্রজাপতি হলেন সৃষ্টিকর্ত্তা, তাঁর সন্তান দেবতা, মানুষ ও অসুর। সকলে তাঁর নিকট ব্রহ্মচর্য্য বাস করেছিলেন। ব্রহ্মচর্য্যাবাসান্তে দেবগণ এসে তাঁকে বললেন – আমাদের উপদেশ দিন। প্রজাপতি ‘‘দ’’ এ অক্ষরটি বলে জিজ্ঞাসা করলেন – বুঝলে তো? তাঁরা বললেন – হাঁ, আমরা বুঝেছি, আমাদের দান্ত হতে বললেন। প্রজাপতি বললেন – হাঁ, ঠিক বুঝেছ। তারপর মানুষগণ উপদেশ প্রার্থনা করলে প্রজাপতি ‘‘দ’’ বলে জিজ্ঞাসা করলেন – বুঝতে পেরেছ? তাঁরা বললেন – হাঁ, আপনি আমাদের দান করতে বললেন। প্রজাপতি বললেন, ঠিক বুঝেছ। অনন্তর অসুররা এসে উপদেশ চাহিলে তিনি

‘‘দ’’ বলে বললেন – আমার উপদেশ বুঝতে পেরেছ? তাঁরা বললেন – হাঁ, আপনি আমাদের দয়া কর বললেন।

প্রজাপতি বললেন – হাঁ, ঠিক বুঝেছ।

একটি অক্ষর ‘‘দ’’, দেবতা মানুষ, অসুর তিন রকম বুঝলে কেন?

উপদেশ প্রার্থনার উদ্দেশ্য হল তার দ্বারা স্বকীয় দোষ দূরীভুত করা, দেবগণ ব্রহ্মচর্য্য বাসের দ্বারা আপনাদের দোষ দেখেছিলেন যে ‘আমরা দমগুণ শূন্য’; প্রজাপতির ‘‘দ’’ উপদেশ তাঁরা বুঝলেন ‘ইনি আমাদের দমযুক্ত হতে বলছেন’। মানুষ স্বাভাবিকভাবেই লোভী, তাঁরা বুঝলেন – লোভ দূর করতে হলে দান করার প্রয়োজন। অসুর নির্দ্দয়, তাঁরা বুঝলেন – ‘আমাদের দয়া ……….