গুরু বলতে নামই গুরু


একদিন সন্ধ্যার প্রাক্কালে কতিপয় গুরুভ্রাতা আসিলেন। নবদ্বীপ বণিক করজোড়ে নিবেদন করিলেন, ‘বাবা আমাকে যে নাম দিয়াছেন, সেই নামের পরিবর্তে ‘গুরু গুরু’ বলিয়া ডাকিতে ভাল লাগে এবং তাতে আনন্দও পাই। এখন আমি কি করিব?’

ঠাকুর – গুরু বলতে নামই গুরু। গুরু শব্দেও নাম বই আর কিছু নয়। গুরু নামে আর পাওয়া নামে কোন পার্থক্য তো দেখি না। নামের উপর অচল, অটল, ভক্তি, অন্ধবিশ্বাস থাকলেই হইল। এই নামের সেবা যত্ন করতে করতে নামের সঙ্গে ক্রমে ক্রমে ভালবাসা জন্মে। ভালবাসা হইলে পরে অনুরাগ হয়। অনুরাগ হইলে প্রেম হয়। প্রেম হইলে নামে রুচি হয়। রুচি হইলে নামের সঙ্গে প্রেম করতে করতে ভাব হয়। সেই ভাবে সকল অভাব দূর হইয়া যুগল মিলন হয়। এই যুগল মিলন, প্রতি শ্বাসে-প্রশ্বাসে নাম করতে করতে এক সময় শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হইয়া যায়। এই অবস্থায় যতক্ষণ থাকা যায় ততক্ষণই যুগল মিলন অবস্থা।

(রামভাই স্মরণে – ফণীন্দ্রকুমার মালাকার)