নাম হইল জীবের জীবাত্মা বা প্রাণ


এই নাম হইল জীবের জীবাত্মা বা প্রাণ বা দেহী। এই নামের ধ্বনিরে বলা হয় প্রণব ধ্বনি, ওঙ্কার ধ্বনি, বংশী ধ্বনি, হংস ধ্বনি। নিঃশ্বাস হইল শক্তিরূপিনী। টাইনা উপরে তোলা জন্য শক্তির প্রয়োজন হয়। প্রশ্বাস হইল শিবস্বরূপ, মত্যুস্বরূপ। প্রশ্বাস ফেলতে শক্তির প্রয়োজন হয় না। চেষ্টা, প্রয়াস ভিন্ন আপনা আপনি পইড়া যায়। শক্তিযোগে টাইনা উপরে তুললেই মৃত্যু। বায়বীয় অনুসন্ধানের দ্বারা এই তত্ত্ব জানতে পারলে বাহ্যিক আর কোন সাধনার দরকার হয় না। অপূর্ণ মানব পূর্ণত্ব লাভের সহজাত বাসনা নিয়া এই পঞ্চভূতের রাজ্যে আসে। কিন্তু আসলে কি হইবে, পঞ্চভূতের রাজ্যে ও রজোগুণের চঞ্চলতায় জাত মনরূপা ‘আমি’র কুহকেও বুদ্ধিরূপা ‘আমার’ মায়ায় আকৃষ্ট হইয়া জীব ‘আমি’ ‘আমি’ ও ‘আমার’ ‘আমার’ কইরা অফুরন্ত কামনা-বাসনায় ভবরূপ জন্ম-মৃত্যুর মহাসাগরে ভাসে। অপূর্ণই থাইকা যায়, পূর্ণত্ব লাভ হয় না। বায়ুর সঠিক তত্ত্ব জানলে পর প্রতি নিঃশ্বাসে-প্রশ্বাসে যে নাম হয় সেই নাম শুনতে শুনতে মন নামের সঙ্গে মঞ্জুরী হইয়া যায়, বুদ্ধি চিন্ময় হইয়া যায়। ‘আমি’ ও ‘আমার’ থাকে না। তখন মানুষ সত্যে প্রতিষ্ঠত হইয়া পূর্ণত্ব লাভ করে, জন্ম-মৃত্যুর অতীত হইয়া যায়। পূর্ণস্য পূর্ণমাদায় পূর্ণমেবাবশিষ্যতে। (রামভাই স্মরণে – ফণীন্দ্রকুমার মালাকার)